The news is by your side.

ভ্যালেন্টাইন্স ডে এর ইতিহাস – যেভাবে এলো বিশ্ব ভালোবাসা দিবস

How did Valentine's Day come about?

0

ভ্যালেন্টাইন্স ডে এর ইতিহাস : ৩৫০ সালে রোমের যে স্থানে ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিলো, সেই স্থানে ভ্যালেন্টাইন এর স্মরণে একটি গির্জা নির্মাণ করা হয়। অবশেষে ৪৯৬ খ্রিষ্টাব্দে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ধর্মগুরু পোপ গ্লসিয়াস ১৪ ফেব্রুয়ারিকে `Saint Valentine Day’ হিসেবে ঘোষণা করেন। ভ্যালেন্টাইন্স ডে মূলত পশ্চিমা সংস্কৃতিতে প্রতি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারী পালিত হয়। যাকে আমরা ভালোবাসা দিবস হিসেবে জানি । ভ্যালেন্টাইন্স ডে এর ইতিহাস ভালোবাসা দিবস বা সেন্ট ভ্যালেন্টাইন দিবস যাকে অন্যভাবে সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন্স উৎসব ও বলা হয়। একটি বার্ষিক উৎসবের দিন যা ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা এবং অনুরাগের মধ্যে দিয়ে উদযাপিত হয়।

ভ্যালেন্টাইন্স ডে এর ইতিহাস

প্রথম দিকে এটি সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন নামক একজন অথবা দুজন খ্রিষ্টান শহিদকে সম্মান জানাতে খ্রিষ্টধর্মীয় উৎসব হিসেবে পালিত হতো। পরবর্তীতে লোক ঐতিহ্যের ছোঁয়ার মধ্যে দিয়ে এটি বিভিন্ন দেশে আস্তে আস্তে প্রেম ও ভালোবাসার সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও বাণিজ্যিক একটি আনুষ্ঠানিক দিবসে পরিণত হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হয়ে থাকলেও বাংলাদেশ সহ অধিকাংশ দেশেই ভ্যালেন্টাইন্স ডে দিনটি ছুটির দিন নয়।

কিভাবে আসলো ‘ভ্যালেন্টাইন ডে

এটি ঐতিহ্যগতভাবে রোমান্টিক প্রেমের সাথে যুক্ত এবং ভালোবাসা দিবসে (ভ্যালেন্টাইন্স ডে) দম্পতিরা উপহার, কার্ড বিনিময় করে এবং একসঙ্গে সময় কাটাতে উদযাপন করে। যাইহোক, এটি ভালবাসার আরও সাধারণ উদযাপনে পরিণত হয়েছে, লোকেরা তাদের বন্ধু, পরিবার এবং অন্যান্য প্রিয়জনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। (ভ্যালেন্টাইন্স ডে) প্রাচীন রোমান ঐতিহ্যের মধ্যে রয়েছে, তবে এর বর্তমান রূপ জনপ্রিয় সংস্কৃতি দ্বারা ব্যাপকভাবে সারা বিশ্বকে প্রভাবিত করেছে।

সেন্ট ভ্যালেন্টাইন এর ইতিহাস

২৬৯ সালে ইতালির রোম নগরীতে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামে একজন খৃষ্টান পাদ্রী ও চিকিৎসক ছিলেন। ধর্ম প্রচারের অভিযোগে তৎকালীন রোম সম্রাট দ্বিতীয় ক্রাডিয়াস তাকে বন্দী করেন। কারণ তখন রোমান সাম্রাজ্যে খৃষ্টান ধর্ম প্রচার নিষিদ্ধ ছিল। বন্দী অবস্থায় তিনি জনৈক কারারক্ষীর দৃষ্টিহীন মেয়েকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলেন। এতে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন এর জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। আর তাই তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজা তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। সেই দিন ১৪ই ফেব্রুয়ারি ছিল। অতঃপর ৪৯৬ সালে পোপ সেন্ট জেলাসিউও ১ম জুলিয়াস ভ্যালেন্টাইন স্মরণে ১৪ই ফেব্রুয়ারিকে ভ্যালেন্টাইন ডে ঘোষণা করেন। খৃষ্টানজগতে পাদ্রী-সাধু সন্তানদের স্মরণ ও কর্মের জন্য এ ধরনের অনেক দিবস রয়েছে।

যেমন: ২৩ এপ্রিল – সেন্ট জজ দিবস, ১১ নভেম্বর – সেন্ট মার্টিন দিবস, ২৪ আগস্ট – সেন্ট বার্থোলোমিজম দিবস, ১ নভেম্বর – আল সেইন্টম দিবস, ৩০ নভেম্বর – সেন্ট এন্ড্রু দিবস, ১৭ মার্চ – সেন্ট প্যাট্রিক দিবস।

বাংলাদেশে ও ভ্যালেন্টাইন ডে

বাংলাদেশেও বর্তমানে ভ্যালেন্টাইন ডে পালন খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে তরুণ সমাজের কাছে। পাশ্চাত্য সংস্কৃতি ও বাংলাদেশের নিজস্ব সংস্কৃতির মিশ্রণে ভিন্নভাবে “বিশ্ব ভালোবাসা দিবস” নামে এটি পালিত হয়। বাংলাদেশে বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে ১৪ ফেব্রুয়ারি তারিখে বসন্ত উৎসব তথা পহেলা ফাল্গুন উদযাপিত হয় । একই দিন ভালোবাসা দিবস ভ্যালেন্টাইন ডে পালন করা হয় বিধায় অনেকের কাছেই এই দিবসটি বেশ উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। এই দিনটি ভ্যালেন্টাইন ডে বাংলাদেশের অধুনা তরুণ সমাজ আরও ভিন্ন উপায়ে উদ্‌যাপন করতে উৎসাহিত হয়।

How did Valentine’s Day come about?

Valentine’s Day : Valentine’s Day is a holiday celebrated on February 14th each year, primarily in Western cultures. It is traditionally associated with romantic love and is often celebrated by couples exchanging gifts, cards, and spending time together. However, it has also become a more general celebration of love, with people expressing appreciation for their friends, family, and other loved ones. The holiday has its roots in early Christian and ancient Roman traditions, but its current form has been heavily influenced by commercialization and popular culture.

ভ্যালেন্টাইন্স ডে এর ইতিহাস ও আরও তথ্য উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে জেনে নিতে পারেন

Leave A Reply

Your email address will not be published.