২৮ জানুয়ারী ক্যাডেট ভর্তি পরীক্ষা। সকল শিক্ষার্থী তাদের নিজ অবস্থান থেকে সর্বচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে। কিন্তু লিখিত পরীক্ষার রেজাল্ট যখন বের হয়, তখন রেজাল্ট দেখে সবাই অবাক হয়ে যায়। কারণ প্রথম সারির বেশিরভাগ শিক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তির্ন হতে পারে না। কিন্তু ক্যাডেট লিখিত পরীক্ষায় মধ্যম সারির বেশিরভাগ শিক্ষার্থী উত্তির্ন হয়।
ক্যাডেট রেজাল্ট তৈরি হয় শতাংশ নম্বর উপর। তাই একজন শিক্ষার্থীকে সকল বিষয়ে সমান হতে হয়।যাকে বলি অলরাউন্ডার। কিন্তু প্রথম সারির বেশিরভাগ শিক্ষার্থী অলরাউন্ডার হতে পারে না।
প্রথম সারির শিক্ষার্থীদের অধিক পরিমাণে প্রশ্ন কমন পরে, তাই তারা ঠান্ডা মাথায় উত্তর লেখা শুরু করে এবং গনিত এবং ইংরেজি লিখতে তারা ৮৫% সময় শেষ করে পরবর্তীতে বাংলা ও সাধারণ জ্ঞান লেখার সময় পায়না।
যার ফলে অধিক নাম্বার পেয়েও সে উত্তির্ন হতে পারে না। আরও অনেক কারন আছে। আর মধ্যম সারির শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন কমন পরে কম। তাই আগে তাঁরা শর্ট প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখে ফেলে, যাঁর ফলে ৫০% সময়ে ৭০% প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম হয় এবং লিখিত পরীক্ষায় উত্তির্ন হয়।
আসলে প্রথম সারির শিক্ষার্থীদের লিখিত পরীক্ষায় উত্তির্ন হতে না পারার জন্য অভিভাবক দায়ী। উদাহরণ হিসেবে হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিলে যেমন রোগ সারে না। তেমনি একাডেমিক টিচার দিয়ে ক্যাডেটে ভালো ফলাফল আশা করা যায় না।
চোখের চিকিৎসার জন্য হার্টের ডাক্তার এর কাছে চোখ ভালো হয়না। তেমনি বিষয়ভিত্তিক টিচার ছাড়া অন্য বিষয়ের টিচার দিয়ে পড়ালে রেজাল্ট ভালো হয় না। আর নতুন ডাক্তার দিয়ে জটিল অপারেশন করলে যেমন অপারেশন সফল হয় না। তেমনি ক্যাডেটে সিলেবাসে অনবিজ্ঞ টিচার বা কোচিং করালে সফলতা আসে না।
ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি একবারেই ব্যাতিক্রম। ক্যাডেট কোচিং মান সবার উপরে। ক্যাডেট শিক্ষার্থী বিসিএস এর প্রশ্নে ৮৫% নম্বর পাওয়ার যোগ্যতা রাখে। লক্ষ্য ক্যাডেট হলে অবশ্যই অলরাউন্ডার হতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম ও সঠিক দিকনির্দেশনা।
দেখতে হব কোন কোচিং এর বিগত সালের রেকর্ড ভালো। এবং টিচার এর ক্ষেত্রে দেখতে হবে ক্যাডেট সিলেবাসের অভিজ্ঞতা ও বিষয়ভিত্তিক টিচার কিনা। তাহলেই সফলতা আসবে। লিখেছেন সাগর স্যার (01719056379)