The news is by your side.

বিমানে পাইলট নিয়ােগে ‘অনিয়মের তদন্ত চায় বাপা

বিমানে পাইলট নিয়ােগ: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে পাইলট নিয়োগে নানা অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত চেয়েছে পাইলটদের সংগঠন বাংলাদেশ এয়ারলাইনস পাইলট অ্যাসোসিয়েশন (বাপা)। সংগঠনটি বলেছে, বিমানে পাইলট নিয়োগের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় আইন লঙ্ঘিত হয়েছে। বিমানের কর্মকর্তাদের স্বজনরা নিয়োগের ক্ষেত্রে সুবিধা পেয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার বাপার পক্ষ থেকে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে চিঠি দেওয়া হয়। তবে এই চিঠির বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বক্তব্য দেয়নি বিমান কর্তৃপক্ষ।

ঐ চিঠিতে বলা হয়েছে, বিমানের পাইলট নিয়োগে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি হয়েছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। নিয়োগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিমানের ট্রেনিং বিভাগের (সিওটি) প্রধানকে। তাঁর স্ত্রী পাইলট হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন, যা নিশ্চিতভাবে স্বার্থের দ্বন্দ্ব্ব। পাইলট নিয়োগের ক্ষেত্রে বিমানের অপারেশনাল নির্দেশনা (ম্যানুয়াল), বাপার সঙ্গে বিমানের চুক্তি চরমভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে।

নতুন করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া ফ্লাইট অফিসাররা নিয়মিত হিসেবে ফ্লাই করতে পারবেন না, যতক্ষণ না তাঁরা ৩০০ ঘণ্টা ফ্লাই করছেন। এসব ফ্লাইট অফিসারের জন্য এখন বিমান বড় অঙ্কের টাকা খরচ করে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।

চিঠিতে বলা হয়, বিমানের বোয়িং-৭৭৭ উড়োজাহাজ চালানোর জন্য নতুন করে কোনো পাইলট নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তবে ক্রু নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে এবং ক্রুদের বাছাই করে মেইল পাঠানো হয়েছে। ফ্লাইট অফিসার পদে একজন এয়ারলাইন ট্রান্সপোর্ট পাইলট লাইসেন্সের ক্ষেত্রে ভুয়া সনদ দিয়েছেন। তিনি সিমুলেটর ট্রেনিং করেননি। পরে তাঁকে বিমানের খরচে প্রশিক্ষণে পাঠানো হয়, যা সম্পূর্ণ অপচয়। বিমানের বোয়িং-৭৭৭-এর জন্য জ্যেষ্ঠ পাইলটদের পাশ কাটিয়ে এক জুনিয়র পাইলটকে পাইলটদের প্রশিক্ষক বানানো হয়েছে, যা অনৈতিক।

বাপার চিঠিতে আরো বলা হয়, গাফিলতির কারণে বোয়িং-৭৮৭ ফ্লাইটের ক্রুদের বিদেশে গিয়ে জেডএফটিটি ও পিপিসি প্রশিক্ষণ পুনরায় (রিটেক) নিতে হচ্ছে। এতে বিমানের একটি বড় অঙ্কের অর্থ খরচ হবে।

See also  ডেপুটি ম্যানেজার পদে চাকরি দিবে, উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক
Source kalerkantho: কালের কণ্ঠ