নোটিশ বোর্ড: বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তের মৌখিক পরীক্ষাটি শুরু হবে আগামী ২৫ জুলাই থেকে। গত বছরে’র ১৯ ডিসেম্বর এবং চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়া লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ব্যক্তিগণ এই মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।
গত ৩০ শে জুন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের বিশেষ এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বার কাউন্সিলের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বার কাউন্সিলের ধারা ‘৬০বি অনুযায়ী’ যাঁহারা সর্বশেষ দুটি (২০১৮ ও ২০১৬’) এনরোলমেন্ট পরীক্ষায় যেকোনো একটিতে অনুত্তীর্ণ হয়েছেন অথবা কোন কারনে অংশগ্রহণ করতে পারেননি, তাঁরা পরীক্ষার ফি বাবদ ১ হাজার টাকা ও ফরম ফি বাবদ ৫০০৳ জমা দিয়ে ঐ মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।
কেন্দ্রটিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ায় লিখিত পরীক্ষা দুইবার নেয় বার কাউন্সিল। ২০২০ ইং সালের ১৯ ডিসেম্বর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় মোট ৯টি কেন্দ্রে। (আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, শেখ বোরহান উদ্দিন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, মোহাম্মাদপুর মহিলা কলেজ, মোহাম্মাদপুর কেন্দ্রীয় কলেজ, সেন্ট্রাল ইউমেন্স কলেজ, বিসিএসআইআর হাইস্কুল, গভর্নমেন্ট মোহাম্মাদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজ)।
তার মাঝে মোহাম্মদপুর মহিলা কলেজ, মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজ, বিসিএসআইআর উচ্চবিদ্যালয়, সরকারি মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজ কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের লিখিত পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছিলো। এরপরে বাতিলকৃত ৫টি কেন্দ্রে’র পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছিলো চলতি বছরে’র ২৭ ফেব্রুয়ারি।
২০২০ ইং সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৭০ হাজার আইন শিক্ষানবিশ আইনজীবী এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলো। তারমধ্যে এমসিকিউ উত্তীর্ণ হন মাত্র ৮ হাজার ৭৬৪ শিক্ষার্থী’। এছাড়াও ২০১৭ ইং সালে ৩৪ হাজার শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে দ্বিতীয় ও শেষবারের মতো বাদ পড়া ৩ হাজার ৫৯০ জন শিক্ষার্থীসহ ১২ হাজার ৮৭৮ জন শিক্ষার্থী এবারের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলো।
তার আগে ২০২০ই সালের ২৬ সেপ্টেম্বর লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় বার কাউন্সিল’। কিন্তু করোনামহামারির কারণে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় সরকার। তাই করোনা পরিস্থিতি সংক্রমণের মধ্যে আগের নোটিশ অনুসারে পরীক্ষা নিতে পারেনি বাংলাদেশ বার কাউন্সিল। পরে ২০২০ ইং সালের ১৯ ডিসেম্বর লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। সূত্র: বাংলাদেশ বার কাউন্সিল